চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ওষুধের খরচ বাড়লেই আম জনতার মধ্যে চিন্তা বাড়তে থাকে। খরচের সাথে পাল্লা দিয়ে ওষুধ কেনাই দায় হয়ে ওঠে। তবে এবার একাধিক প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম কমতে চলেছে। NPPA (ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি) এমন ৩৫টি ওষুধের রিটেল প্রাইস কমিয়েছে।
এই ওষুধের তালিকার মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অ্যান্টি-বায়োটিক ও মানসিক রোগের ওষুধ রয়েছে। ফলে, এবার ক্রেতারা ওষুধের দামের ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এনপিপিএ যে দাম নির্ধারণ করেছে, তার ভিত্তিতে ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রক নোটিশ দিয়েছে। প্যারাসিটামল এবং ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন, অ্যামোক্সিলিন ও পটাশিয়াম ক্লাভুল্যানেট, অ্যাটোরভাস্টাটিন ইত্যাদি বেশ কিছু ওষুধের কম্বিনেশনের দামে এই প্রভাব পড়বে।
ড. রেড্ডির ল্যাবরেটরীর অ্যাসিক্লোফেনাক-প্যারাসিটামল-ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন কম্বিনেশনের দাম ১৫.০১ টাকা থেকে কমে ১৩ টাকা হচ্ছে। হৃদরোগের সমস্যার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত অ্যাট্রোভাস্টাটিন ৪০ এমজি এবং ক্লপিডোগ্রেল ৭৫ এমজির কম্বিনেশনের দামও কমছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “পরিবর্তিত দাম দোকানে বা সংশ্লিষ্ট জায়গায় প্রকাশ করতে হবে, যাতে সবাই দেখতে চায়। পরিবর্তিত দাম না নিলে ডিপিসিও ও এসেনশিয়াল কমোডিটিস আইনঙ্গের অভিযোগ উঠতে পারে।” এনপিপিএ জানিয়েছে, “যে সব ওষুধের ক্ষেত্রে জিএসটি ধার্য আছে, তা নিতে হবে।” উল্লেখ্য, কেমিক্যাল এবং ফার্টিলাইজার মিনিস্ট্রির অধীন এনপিপিএ দেশের সব ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করে।