Indian Prime Time
True News only ....

রাস্তার দাবীতে এলাকা জুড়ে পড়লো পোস্টার

- Sponsored -

- Sponsored -

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ না হওয়ায় এবার মালদার ইংরেজবাজারেও পোস্টারের দেখা পাওয়া গেলো। যেখানে লেখা আছে, ‘যত দিন রাস্তা পাকা না হচ্ছে তত দিন এলাকায় দিদির দূত বা কোনো নেতা প্রবেশ করতে পারবেন না।’ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করা দিদির দূতদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জল, রাস্তা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি সহ ইত্যাদি নানা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে। এই আবহেই গতকাল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁসিপাড়া গ্রামের একাধিক বাড়ির দেওয়ালে লেখা ছিল, ‘নেতামন্ত্রীর এই পাড়ায় ঢোকা নিষেধ।’

আর এদিন ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর, কৃষ্ণপুর ও ৫২ বিঘা এই তিনটি গ্রামেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এলাকাবাসীদের দাবী, ‘‘বাগবাড়ি খোয়ার মোড় থেকে ৫২ বিঘা অবধি কাঁচা রাস্তা পাকা করতে হবে। আর যত দিন রাস্তা পাকা না হচ্ছে তত দিন সেখানে দিদির দূত বা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা প্রবেশ করতে পারবেন না।’’ প্রয়োজনে আমরা ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।

ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে থাকায় বিজেপি এই বিষয়টিতে তৃণমূলকেই দায়ী করেছে। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে দিদির ভূতদের এলাকাবাসী দেখেছেন। গ্রামে ঢুকলেই লুটেপুটে খাওয়ায় এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে এমন পোস্টার দিয়েছে।’’

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ১৫ টি সামাজিক প্রকল্প বাংলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। কিছু না পাওয়ার অভিযোগ থাকবেই। এটা স্বাভাবিক। তা সম্পূর্ণ করতেই দিদির দূতরা গ্রামে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কিন্তু বিরোধীদের লক্ষ্যই হচ্ছে তাতে বাধা সৃষ্টি করা।’’

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘দিদির দূতরা কত গ্রামে যাচ্ছেন! যতগুলি জায়গায় যাচ্ছেন তার তুলনায় ক্ষোভের দৃষ্টান্ত কত কম! সেটা কি দেখছেন? যে জায়গাগুলিতে মানুষ ভালো বলছেন, প্রশাংসা করছেন, পুষ্পবৃষ্টি করছেন সেগুলির কথা তো কেউ বলছেন না? রাস্তা হয়নি, পরিষেবা পাননি— এগুলি তো মানুষ বলবেনই। সেগুলি শুনতেই তো আমাদের যাওয়া।’’

সিপিএম এবং বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলি এই ক্ষোভকে শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘অনাস্থার প্রতিফলন’ বলে দাবী করেছেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “মানুষ রাস্তা দিয়ে গেলে কিছু বলবে না, তা নয়। ক্ষোভ থাকতেই পারে। মানুষের কিছু জানানোকে বিক্ষোভ বলে না।’’

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored