রাজারহাটে খোদ পুলিশের মদতেই চলছে পুকুর ভরাটের কাজ

Share

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ রাতের অন্ধকারেই চুপি চুপি হয়ে যাচ্ছে কাজ। রাজারহাট থানায় এলাকার রেকজোয়ানিতে একের পর এক ঝিল ও পুকুর। সেগুলিই রাতারাতি ভরাট হয়ে যাচ্ছে বলে অবিযোগ। সমস্ত নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে পুলিশি পাহারায় চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবাদ করলেই গ্রেফতারির হুমকি আসে পুলিশের তরফে। কিন্তু, সব দেখেও কেন চুপ করে আছে প্রশাসন? কার প্রশ্রয়ে হচ্ছে এই বেআইনি কাজ? প্রশ্ন এলাকার বাসিন্দাদের।

স্থানীয়দের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘‘পুকুর ভরাট আটকাতে গেলে পুলিশের তরফ থেকে বলা হয় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, বিএলআরওর নির্দেশে পুকুর ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। এদিকে যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই নির্দেশ দিয়েছেন, ‘কোনোরূপ জলাভূমিই ভরাট করা যাবে না,’ সেখানে কিভাবে রাতের অন্ধকারে কার মততে চলছে এই ‘বেআইনি’ কাজ? এলাকার বাসিন্দারা বলছেন রাতে গুটি গুটি পায়ে চলে আসছে জেসিবি। রাতের অন্ধকারেই মাটি কাটার কাজ শুরু করে দিচ্ছেন প্রোমোটার। তবে অভিযোগের এখানেই শেষ নয়।


এখানেই একটা পরিবার প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে বসবাস করছে। পুকুর-বাগান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল এই আদিবাসী পরিবারের কাঁধে। কিন্তু, হঠাৎই বছরখানেক আগে তাঁদের বলা হয় এই জমি ছেড়ে উঠে যেতে। অভিযোগ, কেটে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক কানেকশনও। ক্ষোভের সুরেই এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “আমাদের পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে বিডিওরা নাকি পারমিশন দিয়ে রেখেছে। কিন্তু, এই বেআইনি কাজ আর কতদিন চলবে? আমরা চাই এই এলাকা আগে যেমন ছিল তেমনই থাকবে।”

আর এক বাসিন্দা নরোত্তম দত্তরায় বলছেন, আমরা যাতে ভরাট না করা হয় সে কথা জানিয়ে ব্যানার দিয়েছিলাম। তা ছিড়ে ফেলে দিয়েছে। আগেও ভরাটের কাজ হচ্ছিল আমরা আটকে ছিলাম। ফের যে বোজানো হবে সেই খবর পাচ্ছিলাম। আমরা রাতে এলাকার কিছু লোকজন আসি এখানে। দেখি থানা থেকে তিনটে গাড়ি এল। এসেই বলল আপনারা বাড়ি চলে যান। কোনও কাজে বাধা দিলে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ বলছে এ কথা। বলছে আমাদের কাছে অর্ডারের কপি আছে। আমাদের কাছে ডিএম, বিডিও-র কপি জমা পড়েছে।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30