অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ এবার চাকরীহারাদের বিরুদ্ধে পুলিশ জোড়া মামলা করেছে। আর পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। গতকাল কসবা থানায় ডিআই অফিসের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। একটি মামলা পুলিশের তরফে করা হয়েছে ও অন্য মামলা ডিআই অফিসের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে। এরপর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয়েছে। আর চার জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। দু’জন মহিলা পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন। লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে সিপির কথায়, “আমাদের কাছে সেইসব ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।” কিন্তু সিপি মৃদু লাঠিচার্জ বললেও এক জন শিক্ষক জামা-প্যান্ট খুলে দেখালেন মেরে-মেরে কিভাবে কালশিঠে দাগ ফেলে দেওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এই বিষয় জানান, “চাকরী খেয়েছে তারপর পেটে-পিঠে লাঠি। এবার ওদের জেলেও ঢোকাবে। লজ্জার কথা এই পুলিশ ছ’মাস আগে ডাক্তারদের পিছনে লেগেছিল। আজ এই পুলিশ মাস্টারদের পিছনে লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেলেন, যে ২৬ হাজারকে লাঠিপেটা করলেন তাদের একটা বিরাট অংশ ভোট দিয়েছেন।” সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, “এই ন’বছরে যারা চুরি করেছে, সেই চোরের গায়ে পুলিশের একটাও আঁচড় লাগল না। আর মার খেলেন শিক্ষকরা। এর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের চরিত্র বোঝা যায়।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here