মধ্যরাতে বিক্ষোভরত কুস্তিগিরদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় পুলিশ

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারী চেয়ে দিল্লির যন্তরমন্তরে কুস্তিগিরদের আন্দোলন চলছে। আর গতকাল মধ্যরাতেরবেলা হঠাৎ সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঝামেলা হলে তা হাতাহাতিতে পৌঁছায়।

বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, “গতকাল সন্ধ্যাবেলা থেকে দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় তাদের সাথে অভব্য আচরণ শুরু করেন। এরপর রাতেরবেলা আচমকাই এসে মারধর করেন। মহিলা কুস্তিগিরদেরও গালিগালাজ করেন। এর জেরে দুই জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তিও আছেন।”


কুস্তিগির বিনেশ ফোগট জানান, “আমরা কোনো দাগি আসামী নই যে পুলিশ আমাদের সাথে এরকম আচরণ করবে। এই দিনটি দেখার জন্যই কি আমরা দেশের হয়ে এত পদক জিতলাম?” কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলেন, “সারা দেশের মানুষের আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না করে আমাদের উপর বলপ্রয়োগ করছেন।” বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি পদক জেতা বজরং বলেছেন, “সরকারকে অনুরোধ করব যেন আমার সব পদক ফিরিয়ে নেওয়া হয়।”


কিন্তু কুস্তিগিরদের সাথে দেখা করেই উল্টো সুরে ঊষা জানিয়েছেন, “মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।” এদিকে পুলিশ দাবী করেছেন, “এদিন আপ নেতা সোমনাথ ভারতীর নেতৃত্বে কয়েক জন অনুমতি ছাড়াই বিক্ষোভস্থলে এসে উপস্থিত হয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। আর বিক্ষোভরত কুস্তিগিরেরা সোমনাথ ও তাঁর লোকেদের সমর্থন জোগান। এরপর যথাসময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে সক্ষম হয়েছে।


পাশাপাশি সোমনাথ সহ তাঁর দুই সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভরত কুস্তিগিরদের লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া যেই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে ওই তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হবে।” এই ঘটনার পর পুলিশ যন্তরমন্তর এলাকা সিল করে দিয়েছেন। কাউকে বিক্ষোভের জায়গায় প্রবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হবে না।

DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031