চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ বিকেলবেলা তৃণমূলের শৃঙ্খালারক্ষা কমিটি ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের সাসপেন্ড ঘোষণা করে। আর এই খবর শুনে সন্ধ্যা নামার আগেই তৃণমূল কর্মীরা ভাঙড়ে মিষ্টিমুখ করলেন। এমনকি বাজি ফাটলো। প্রচুর আতশবাজিও পুড়লো। এছাড়া আরাবুলের বিরুদ্ধে শ্লোগানও উঠল। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানান, ‘‘দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য আরাবুল ইসলাম ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড ঘোষণা করা হয়েছে।’’ এরপরই ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা ভাঙড়ের হাতিশালায় একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করান। লাড্ডু, রসগোল্লা ইত্যাদিও বিলি করা হয়। একনাগাড়ে আবার বাজিও ফেটেছে। পাশাপাশি এই আমোদ-প্রমোদের কারণ হিসেবে জানান, ‘‘আরাবুল ভাঙড়ে কেবল নিজের উন্নয়ন করেছেন। তাই এতদিনে দল তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা খুশী। তাই এই আনন্দ।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে এর আগেও ছ’বছরের জন্য আরাবুলকে তৃণমূল সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু ঘটনাক্রমে এই সাসপেনশন প্রত্যাহৃত হয়। আর গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হন। তবে তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ের দলীয় পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার সাথে আরাবুলের দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। গত ১ জানুয়ারী তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে শওকত ও আরাবুলের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তখন শওকত মোল্লা জানান, ‘‘আরাবুল ইসলাম ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাঙড়ে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন। বিষয়টি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনা হবে।’’ এর মধ্যে বৃহস্পতিবারও ভাঙড় দুই নম্বর বিডিও অফিসের সামনে আবারও শওকত গোষ্ঠী ও আরাবুল গোষ্ঠীর অনুগামীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here