নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পঞ্চায়েতের অনুমতি না নিয়ে পঞ্চায়েতের লাগানো বেশ কিছু গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম গৌতম কর্মকার ওরফে বাপ্পা। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার চাঁদাই গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরেই চাঁদাই গ্রামে পাকা রাস্তার ধারে ধারে বেশ কিছু সরকারী গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল। শনিবারও গাছ কাটার কাজ চলছিল। ওই সময় সেখান দিয়ে ভাতার থানার বনপাশের এক বাসিন্দা যাচ্ছিলেন। সে গৌতমবাবুর কাছে গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে তিনি ধমক দেন। এরপর ওই যুবক থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরেই প্রচুর সরকারী গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।’’ পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে পরদিন গৌতমবাবুকে গ্রেফতার করে আজ বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনায় বিক্রি করে দেওয়া গাছ উদ্ধার করা ও গাছ কাটার কাজে জড়িতদের খোঁজ করতে পুলিশ গৌতমবাবুকে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে। অবশেষে সওয়াল-জবাবের পর বিচারক দু’ দিনের পুলিশী হেফাজত মঞ্জুর করেন। এদিকে, অভিযুক্তের স্ত্রী বনপাশ পঞ্চায়েতের সদস্যা মাধুরী কর্মকারের দাবী, ‘‘গৌতমবাবুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে।’’ অন্যদিকে, গৌতমবাবুও জানান, ‘‘আলোচনা করেই পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানানোর পর গাছগুলি কাটা হচ্ছিল। চুরি করা হয়নি।’’
জানা গেছে, গুসকরার এক জন ঠিকাদারের মাধ্যমে ওই গাছগুলি কাটানো হচ্ছিল। এই বিষয়ে ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে, যেন পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়া আর গাছ কাটা না হয়। এই বিষয়ে বনপাশ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। কিন্তু এতে পঞ্চায়েতেরও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমি বিষয়টি পঞ্চায়েতের কাছে জানাব।’’