নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় শালী নদী অবস্থিত। কিন্তু নদীর উপর কোনো পাকা সেতু নেই। আর পাকা সেতু না হওয়ায় গ্রামবাসীর হাতে তৈরী দুর্বল বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার চলে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এরই মধ্যে গতকাল রাতে এক জন গ্রামবাসীর ওই সাঁকো থেকে নদীগর্ভে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের নাম সঞ্জয় ঘোষ। বয়স ৩৪ বছর। বাড়ি ভগবতীপুর গ্রামে।

এই গ্রামের পাশ দিয়ে শালী নদী বয়ে গিয়েছে। সারা বছর নদীর গর্ভ শুকনো থাকলেও বর্ষায় এই নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। নদীর দুকূল ছাপিয়ে জল বইতে থাকে। গ্রাম থেকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার উপরেই ওই নদী থাকায় নদী পারাপারের জন্য গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন থেকে একটি পাকা সেতুর দাবী করেছেন। অবশেষে অনেক আবেদন নিবেদনের পরে ওই এলাকায় মাটি পরীক্ষার কাজ হয়। কিন্তু ব্যাস সেটুকুই। আজও পাকা সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এর জেরে সারা বছর গ্রামবাসী গভীর নদীখাত পারাপারের জন্য অস্থায়ী নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন। এবার ওই সাঁকোতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সঞ্জয়বাবু বাইকে করে নিজের অসুস্থ শিশু সন্তানের জন্য সাঁকো পেরিয়ে ওষুধ আনতে রসুলপুর বাজারে যান। তবে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নড়বড়ে সাঁকো থেকে কোনোভাবে বাইক সহ নদীগর্ভে পড়ে যান। পরে গ্রামবাসীরা সঞ্জয়বাবুকে নদীগর্ভে থাকা বালির মধ্যে ঘাড় গুঁজে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তারা নদী গর্ভে ছুটে এসে দেখেন ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। তারপর ইন্দাস থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এই দুর্ঘটনায় পর এলাকাবাসীরা ফের একবার শালী নদীর উপর পাকা সেতু তৈরীর দাবীতে সরব হয়েছেন। আর জানিয়েছেন, “প্রশাসন পাকা সেতু তৈরীতে উদ্যোগী হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









