অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ দেশ জুড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই করোনার জেরে কাবু হয়ে পড়েছে। করোনার করাল গ্রাস মানুষকে জর্জরিত করে তুলেছে। এমত অবস্থায় মানুষের মানসিকতাও ভেঙে পড়েছে। ফলে মানুষ নিজের বোধ-বুদ্ধি হারিয়ে চরম সর্বনাশ ডেকে আনছে।
আর এবার খাস কলকাতায় ঘটছে একের পর এক আত্মঘাতের ঘটনা। গড়িয়াহাট থানার অন্তর্গত ফার্ণ রোডের একটি ফ্ল্যাটে ৪৯ বছরের সন্ধ্যা মাহাতো নামে এক মহিলা একাই বাস করতেন। অতি সম্প্রতি সন্ধ্যা দেবী করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু শুক্রবার দুপুর থেকে তার কোনো আওয়াজ পাড়া-পড়শীরা পাচ্ছিলেন না। এরপর পাড়া-পড়শীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সন্ধ্যাদেবীর দেহ উদ্ধার করে।
তেমনই অন্য দিকে রিজেন্ট পার্কের পুঁটিয়ারিতে এক প্রৌঢ়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় নিজেই আত্মঘাতী হন। আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ওই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
অপর দিকে গতকাল বাগুইআটি অঞ্চলের রঘুনাথপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর করোনা রোগীর দেহ উদ্ধার হয়। বিধাননগর পুরসভা করোনা রোগীর দেহ উদ্ধারের আগেই এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করেছিল। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে তার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও বেড না পাওয়ায় শেষমেশ রাত ১০টা নাগাদ তার অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত। গতকাল রাত থেকে তিনি মৃত স্বামীকে নিয়ে একাই ছিলেন।