নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ গঙ্গার জল ক্রমশ বাড়তে থাকায় মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের মহেশটোলা গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। এখানে জলস্রোত বিপদসীমার মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। একের পর এক পাকা বাড়ি ধসে পড়তে থাকায় এলাকাবাসীরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য প্রতিমা সরকারের কথায়, “যে ভাবে জল বাড়ছে ও পাড় কেটে একের পর এক বাড়ি ধসে পড়ছে তাতে আর হয়ত বড়োজোর দুই সপ্তাহ গ্রাম টিকবে। এরপর ওই গ্রামবাসীরা কোথায় যাবেন তা কেউ ভেবে পাচ্ছেন না।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সত্যম সরকার জানান, “মহেশটোলায় ১২৬ টি ঘরের বসতি। এখন মাত্র ১১ টি পরিবার টিকে রয়েছে। প্রায় ১৩টি বাড়ি নদীতে ঝুলে রয়েছে। সকলেই বিপদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে গেছে। শেষ সম্বল জানালা-দরজাটাও খুলে নিয়ে গেছেন।
গ্রামে প্রথম ধনপতি রবিদাসের বাড়ি ধসে পড়ে। এরপর টানা এক মাস নয় দিন ধরে ভাঙন চলছে। যারা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাদের বেশীর ভাগই প্রতাপগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু শিক্ষা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন।
কিন্তু পুজোর সময় থেকে শিবিরে খাবার সামগ্রী দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে শিবিরে বিড়ি বাঁধছেন।’’ জঙ্গিপুরের সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কল্পরূপ পাল বলেন, “ওই এলাকায় বালির বস্তা ফেলে ভাঙন আটকানোর বহু চেষ্টা হয়েছে। গঙ্গায় জল কমেও গিয়েছিল। তবে হঠাৎ জল বাড়তে থাকায় ভাঙন এতোটা তীব্র হয়ে উঠেছে।”