নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানা এলাকায় খুদের হাত দুটো চেপে ধরে রেখে বেধড়ক মার। পড়ুয়ার মোবাইলে রেকর্ড হওয়া সেই শিক্ষকের ছবি রীতিমতো ভাইরাল। জামার হাতা গুটিয়ে যেভাবে তিনি ক্ষুদে পড়ুয়াকে মেরেছেন, তা দেখে শিউরে উঠছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাড়িতে গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই শিক্ষকের।

জামবাদ মাঝিপাড়ার বাসিন্দা রবি মাঝি তাঁর ৭ বছরের সন্তান চন্দনকে এলাকার এক শিক্ষকের কাছে পড়তে পাঠান। নীরজ কুমার বর্ণওয়াল নামে ওই শিক্ষকের কাছে নিয়ম করেই পড়তে যায় ওই শিশু। যায় এলাকার আরও অনেক পড়ুয়াও। তবে সেখানে ছাত্রদের উপর যে ধরনের অত্যাচার করা হয়, সেটাই সামনে এনেছেন অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র। সেই ভিডিয়োটি মোবাইলে রেকর্ড করে প্রকাশ্যে এনেছে।

অভিযোগ, চন্দন নামে ওই শিশুকে পড়া বলতে বললে সে না পারায় হাত দুটো ধরে নেন শিক্ষক। হাত চেপে ধরে চলে সজোরে চড়-থাপ্পড়। শুধু চড় নয়, শিশুর পিঠ থেকে জামা সরিয়ে পিঠেও চড়-ঘুসি মারতে থাকেন ওই শিক্ষক নির্মমভাবে। যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে শিশু। কিন্তু তাতেও শান্তি হয়নি নীরজের। ছাত্রের কলার ধরে শূন্যে তুলে মাটিতে আছাড় মারতেও দেখা যায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাসুদেব গোপ নামে এক পড়ুয়া ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার পর থেকেই উধাও গৃহশিক্ষক। আক্রান্ত শিশুর বাবা রবি মাঝি অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে অন্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্ডালের বহুলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বীর বাহাদুর সিংয়ের অভিযোগ এই গৃহশিক্ষকের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। অষ্টম শ্রেণির যে ছাত্র ছবি তুলেছে তার অভিযোগ পড়াশোনা না করলেই এইভাবেই মারধর করেন তাদের গৃহশিক্ষক।










