চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে ধুন্ধুমার হাসপাতাল চত্বরে
অমিত জানাঃ হাওড়াঃ সে সাঁতার জানতেন না। রঙ মেখে দোলের দিন পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানেই তলিয়ে যান। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অভিযোগ ওঠে যে, সেখানে চিকিৎসার গাফিলতি ছিল। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর হাওড়ার জয়সওয়াল হাসপাতাল।
সাহেব বাগান এলাকার এক যুবক রং খেলে পুকুরে স্নান করার সময় ডুবে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে অভিযোগ করা হয় যে, দীর্ঘক্ষণ কোনো চিকিৎসক না আসায় পাড়া-প্রতিবেশী ও তার পরিজনরা বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন। তারপর প্রায় আধঘন্টা পরে চিকিৎসক এসে যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফলে গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসককে আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সন্তোষ প্রধান (২২)। মৃতের ঠাকুমা জানান, “সন্তোষ
এখানকার একটি কম্পিউটার সেন্টারে কাজ করত। সে রঙ মেখে পুকুরে স্নান করার সময় তলিয়ে যায়। তাকে সবাই মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু আধঘণ্টা ধরে হাসপাতালে পড়েছিল। তার কোনোরকম চিকিৎসা হয়নি। সন্তোষ তখন বেঁচে ছিল না মরে গিয়েছিল তা বলতে পারবো না। তবে যদি ডাক্তার এসে তার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করতো তাহলে আমাদের মনে একটু শান্তি হতো”।
বিশ্বজিত গোস্বামী বলে অপর একজন বলেন, “আমরা রঙ মেখে পুকুরে স্নান করতে নামি। সন্তোষ সাঁতার জানতে না। ও এক কোমর জলে নেমে তলিয়ে যায়। আর সাথে সাথেই ওকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি আরো বলেছেন, “তখনও সন্তোষ বেঁচে ছিল। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন ওকে গোলাবাড়িতে ট্রান্সফার করা হবে। তবে সেটা হয়নি। আমরা চাই ওই চিকিৎসকের পানিশমেন্ট হোক এবং সাসপেন্ড করা হোক। অবশ্য এই ঘটনা সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি”।