নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ আজ ভোরবেলা মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হরিহরপাড়া থানার পাথরঘাটা এলাকায় অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিতদের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের অভিযোগ, “ভোটারদেরকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে ওঠে।
হরিহরপাড়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এদিকে, রানিনগরের মরিচাতে বোম ফাটানোর অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি রানিনগর চৌত্রিশ নম্বর বুথে সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হলে তিনি কলা বাগানে আশ্রয় নেন। আবার মুর্শিদাবাদ লোকসভার অধীনে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার ২৫৪ নম্বর বুথে সিপিআইএম এজেন্ট সারজেস আলী ও মোজাম্মেল শেখকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। সারজেস আলির মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মীরগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চুয়াল্লিশ নম্বর বুথে ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষের সাথে বিজেপির প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষের বচসা তৈরী হয়। ধনঞ্জয় ঘোষ দাবী করেন, “আমি প্রার্থী হিসেবে এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি একজন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বুথের একশো মিটারের মধ্যে এসে দাদা গিরি করছে। আমি বিজেপির প্রার্থী আমাকেও ধমকানো হচ্ছে। আমি তাকে গ্রেফতারের দাবী করছি।”
কিন্তু রঘুনাথগঞ্জের ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান, “বুথে ঢুকে ভোটারদের ইন্ধন করছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে হেনস্থা করা হয়।” পাশাপাশি সকালবেলা জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সিয়ালমারা মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের ২২৩ নম্বর বুথে ভোটিং মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য ভোটগ্রহণ ব্যাহত হয়। মুর্শিদাবাদ লোকসভার নির্বাচন শুরু হতেই জেলা জুড়ে এই ধরণের বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।