নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ উপনির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই গতকাল রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার পায়রাডাঙা এলাকায় বিজেপি নেতাদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপিকেই দায়ী করেছে।
বিজেপির দাবী, “দলের নির্বাচনী এজেন্ট শ্রাবন্তী দের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি পায়রাডাঙার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম বিশ্বাসকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে।” পরে গৌতম বিশ্বাসকে গুরুতর আহত অবস্থায় রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দু’ঘণ্টার মধ্যে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনায় ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস জানান, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি এজেন্ট ও সক্রিয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর এবং মারধর চালিয়েছে। প্রমাণ লোপাট করতে এলাকার সিসি ক্যামেরাগুলি ভেঙে দেয়। আসলে তৃণমূল নেতাদের মদতপুষ্ট ওই দুষ্কৃতীরা যেকোনো প্রকারে ভোটে কারচুপি করতে চাইছে।” লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর পাল্টা মন্তব্য, “আমাদের কেউ সন্ত্রাস ঘটিয়েছে, এমন খবর জানি না। তবে তৃণমূল যে এলাকাগুলোয় শক্তিশালী, সেখানে বজরং দল নামে একটি সংগঠনের উচ্চিংড়ে নেতারা গিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনেছি।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য, এদিন সকালবেলা ৭টায় রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যাবেলা ৬টা অবধি চলবে। এলাকার নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ১৯ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একটি-দু’টি বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া সেভাবে কোনো বড়ো ঘটনার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসেনি। একটি জায়গায় ইভিএমে সমস্যা হওয়ার কারণে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হতে দেরী হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here