নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ সময় পরিবর্তন হলেও তৃণমূল নেতাদের হুমকিমূলক কথাবার্তার হেরফের হয়নি। একসময় বীরভূমের বাঘ তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ‘‘পুলিশের গাড়িতে বোমা মারুন।’’ আর এখন তৃণমূল বিধায়ক ‘‘পুলিশকে নপুংসক’’ বলে অপমান করতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereজানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যানার পোড়ানো নিয়ে গন্ডগোল চলাকালীন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী কৈচর ফাঁড়ির আইসি ও অন্য অফিসারদের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “এই নপুংসক পুলিশ আমাদের দরকার নেই।” এখানেই থামলেন না। আরও বললেন, “ব্যানার পোড়ানো নিয়ে যদি পুলিশ ব্যবস্থা না নেয়। আমরা ব্যবস্থা নেব। এতদিন বলিনি কিছু।” উর্দি পরিহিত পুলিশ আধিকারিক বললেন, “স্যর সময় দিন অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।” পাল্টা আবার বলতে শোনা গেল, “একটা পর্যন্ত হাতে সময় থাকল তারপর চুড়ি পরিয়ে দেব।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereবিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টচার্য বলেন, “পুলিশ তো আলাদা বলে কিছু নেই। পুলিশ আর তৃণমূল মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। আর পুলিশের যদি কোনও বিচ্যুতি থাকে তাহলে তৃণমূলের লোকজনই শাসন করবে।” অপরদিকে, একই বক্তব্য সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বললেন, “তৃণমূল বার্তা দিচ্ছে আমি দল। আমি বস। আমার কথা শুনতে হবে। অনুব্রত বোমা মারার মতো হুমকি দেওয়ার পরও যখন মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিতে পেরেছিলেন। সেখানেই তো পরিস্কার হচ্ছে সবটা।’