চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আর জি কর কাণ্ডে এবার আর জি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আটক হলেন। আজ দুপুরবেলা সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে নিজেদের দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এছাড়া এদিনই সিবিআই পুলিশী নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর উচ্চ আদালতের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানায়। কিন্তু আদালত আবেদন খারিজ করে সোমবার আবেদন করার কথা জানিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের পরেই সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে ইস্তফা দেওয়ার মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু পড়ুয়ারা সেখানে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। এমনকি তার হাসপাতালে যাওয়ার আগে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। ঘটনাক্রমে হাইকোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে চলে যান। পাশাপাশি এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর এই ঘটনার পরে হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেন না কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সালে সন্দীপ ঘোষ আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। এর আগে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ কর্মরত ছিলেন। তবে প্রথম বার আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ হওয়ার পরে সন্দীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে বদলি হয়েছিলেন। যদিও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার আর জি কর হাসপাতালে ফিরে আসেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও এক বার বদলি হয়ে মাসখানেকের মধ্যে আবার আর জি কর হাসপাতালে ফিরে এসেছিলেন। এমনকি ২০২৩ সালে আর জি কর হাসপাতালের এক জন চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মরদেহ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন।