চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেস ও আইএসএফের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। আগে মাঝে মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী আইএসএফকে বিঁধেছেন। আবার আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী সহ দলীয় সদস্যরাও পাল্টা আক্রমণ করেছেন। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পরাজয়ে নওশাদ সিদ্দিকী কিছুটা আক্ষেপের সুরে জানান, ‘‘আমার খারাপ লাগছে। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কণ্ঠগুলি ছিল, তার মধ্যে একটি কণ্ঠ হয়তো কমে যাবে।’’
পাশাপাশি এও বলেন, ‘‘অধীরবাবুর যে ইগো আছে সেটা বিসর্জন দেওয়া দরকার। ঔদ্ধত্যকে বিসর্জন দিয়ে, মাটির মানুষ হয়ে, কংগ্রেস ছাড়া বাকি যে শক্তিগুলি রয়েছে সেগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করুন। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল এবং বিজেপিকে কীভাবে পরাস্ত করা যায়, তার রূপরেখা এখন থেকে প্রস্তুত করুন।’’
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে টানা পাঁচ বারের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান বহরমপুর থেকে পরাস্ত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘‘নির্বাচনে হারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন।’’ কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পরে, সেই নিয়ে আবারও প্রশ্ন করা হলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘যা করব জানিয়ে দেব।’’