অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ পঞ্চমীর রাতে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, মণ্ডপ বন্ধ করে দিলেন, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্য়োক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, অন্য বছরে দর্শনার্থীরা যে রুট ধরে তাঁদের পুজো মণ্ডপে আসেন, এবার সেই রুট ঘুরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে মহম্মদ আলি পার্কের মণ্ডপে সেভাবে লোক হচ্ছে না। তারা চলে যাচ্ছে অন্য় পুজো মণ্ডপে। এই অভিযোগ তুলে শনিবার রাতে গোটা মণ্ডপে আলো নিভিয়ে দেন উদ্য়োক্তারা। দর্শনার্থীদের জন্য পুজো মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এনিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরপরই কলকাতা পুলিশের তরফে প্রতিক্রিয়া জানান হয়েছে। ‘দর্শনার্থীদের জন্য কোনও রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়নি। আমরা তো কলেজ স্কোয়ার-এমজি রোড পর্যন্ত আসতে দিচ্ছি। এরপরে কেউ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মহম্মদ আলি পার্ক যেতেই পারে। পুলিশ জোর করে কাউকে কোথাও যেতে বলতে পারে না’, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে বিতর্কে দাবি পুলিশ কমিশনারের। অন্যদিকে, শনিবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ঘিরে বেনজির সংঘাত বাধল। পুজো বন্ধে পুলিশি চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন, বিজেপি নেতা ও পুজোর উদ্যোক্তা সজল ঘোষ।
সজল ঘোষের অভিযোগ, পুজোর যে থিম, অপারেশন সিঁদুর, তা নিয়ে শো চালাতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর বক্তব্য, মানুষের নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয়, পুলিশ তাই করছে। শুক্রবার চতুর্থীতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করেছেন অমিত শাহ। আর শনিবারই একেবারে সাংবাদিক বৈঠক করে চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা এবং বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পুলিশের বিরুদ্ধে তুললেন অসহযোগিতা, হেনস্থার মতো গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ! দিলেন পুজো বন্ধ করে দেওয়ার মতো হুঁশিয়ারিও! সজল ঘোষ বলেন, ‘প্রতি বছর পুজোকে কেন্দ্র করে পুলিশি অসভ্যতামি, অসহযোগিতার কথা বলছি না, আমাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই রকম চলতে থাকলে আমাদের পক্ষে পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে আন্দোলন করা, পুলিশের সঙ্গে মারপিট করে, ঝগড়া করে, প্রতিনিয়ত প্যান্ডেল বন্ধ করে আবার চালিয়ে পুজো করা সম্ভব নয়।’
বিজেপি নেতার কথায়, ‘সরকার যে চক্রান্ত করেছে, ৪০ ফুটের রাস্তাকে গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে, ১৫ ফুটের রাস্তা দিয়ে মানুষকে গরু, গাধার মতো, যেখানে ৭০০ মিটার হাঁটলে মাঠে পৌঁছে যাওয়া যায়, সেখানে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে ১৫ ফুট ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে মানুষকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ যে, সিভিক ভলান্টিয়ার তারা প্রতি বছর নেয়, স্থানীয় অঞ্চলে যত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল, সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তারা আজকে বসিয়ে দিয়েছে।’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here