চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ এবার বিজেপি সাংসদ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়ানোর দাবী তুললেন। এমনকি বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দ্বিগুণ অর্থাৎ এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করার দাবী জানিয়ে একটি চিঠিও লিখলেন। আর লেখা চিঠিটি নিজের সমাজ মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।
হ্যাস ট্যাগ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দিয়ে লেখেন, “আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, পশ্চিমবাংলার মহিলাদের ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করে দিয়ে যে ভোটব্যাঙ্ক আপনি তৈরী করছেন, তাতে কিন্তু কিছু হয় না। ন্যূন্যতম ২০০০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তাতে অন্তত তাদের হাত খরচটা হবে।” প্রথম থেকে অবশ্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করে আসছেন, “তাঁদের ভাঁড়ারে টান রয়েছে।’’ আর সেই কথা মাথায় রেখেই বিজেপি সাংসদ সেই টাকা বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করার কথা বলছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “বিজেপি ভাবছে, ভাঁড়ারে টান পড়লে, তাতে মমতা সরকার আরো বেশী কোণঠাসা হবে।’’ পাল্টা এও জানান, “মমতা সরকারকে চাপে রাখতে গিয়ে, বিজেপি কোথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পেরই স্বীকৃতি দিল। বিজেপি সাংসদ কোথাও স্বীকার করে নিলেন, বাংলার মহিলাদের কাছে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা কতটা!’’ উল্লেখ্য, অন্যান্য রাজ্যে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আর জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সেই উদাহরণ টেনেই বাংলার অনুদান বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে, বিজেপি এই প্রকল্পের ধাঁচেই অন্নপূর্ণা প্রকল্প এনেছে। আর অন্নপূর্ণা প্রকল্পে তিন হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বিজেপি নেতৃত্ব এই প্রকল্পের প্রচারও করেছে। আর এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে, ফর্ম ফিলাপ করতে হবে কিভাবে? তারও পাঠ দিচ্ছেন। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওর আগে বলুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করার আগে ওরা কেন কিছু চালু করেনি? নকল করছে ওরা। তার আবার বড়ো বড়ো কথা। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর উচিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া, বাংলার বকেয়া টাকাটা আগে দিক।”