নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজস্থানঃ থরে থরে সাজানো ৫০০ টাকার বান্ডিল। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের। জয়পুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ ডিরেক্টর সন্দীপ বক্সীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, “এটা অর্ধেক টাকা। আগেই অনেক কোটি টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে।”
সূত্রের খবর, সুব্রত বক্সী এক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচয়। তাঁর জয়পুরে একাধিক স্কুল-কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ হাসপাতাল খুলেছেন। অভিযোগ, কিছু কর্তব্যরত ও প্রাক্তন আমলা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিপুল টাকা ঢেলেছেন। আয়কর দপ্তর হিসাব বহির্ভূত আয়ের সন্দেহে এদিন সন্দীপ বক্সীর বাড়ি এবং অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি, ডোনেশন ও বিপুল পরিমাণ নগদ লেনদেনের হদিশেই এই অভিযান চলে। তল্লাশি চলাকালীন বাড়ির নীচের বেসমেন্ট থেকে দশ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
এদিন অভিযান চলার আগেই গ্রুপ ডিরেক্টররা পনেরোটি ব্যাগ ভর্তি নগদ অর্থ তিনটি বড়ো গাড়িতে করে গায়েব করে ফেলতে সক্ষম হন। আর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও কর্মীদের ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। আর সেই টাকা ব্যাগে ভরে মাটির নীচে ফেলে দিয়েছিল বলেই আধিকারিকরা দাবী করেছেন। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আউআরএস অফিসার সিদ্ধার্থ গুপ্ত এই তদন্ত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে গত ৩০ শে জুলাইও তদন্তকারী আধিকারিকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here