চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়ায় উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতাজীর জন্মদিবসকে ‘পরাক্রম দিবস’ রূপে চিহ্নিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতার প্রথমেই বলেছিলেন যে, “এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগ,র, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ মনীষীদের পূণ্যভূমি। নেতাজী স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তিনি নেতাজির আদর্শনীতি অনুযায়ী ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন।
২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজি প্রতিষ্ঠিত আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্ত অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পরাক্রমের প্রতিমূর্তি। তাঁর নাম শুনলে মনের মধ্যে শক্তির সঞ্চার হয়। নেতাজির পাশাপাশি তিনি বাংলার সকল কৃতী সন্তানদের কুর্নিশ জানান।আজকের বক্তৃতায় তিনি কালকা মেলের নতুন নাম নেতাজি এক্সপ্রেস রাখলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআজকের দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে সঞ্চালকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকেন। এরপরই তিনি পোডিয়ামের দিকে এগোতে দর্শকদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে ছন্দে পতন ঘটল। স্বেচ্ছাসেবকরা তা থামানোর চেষ্টা করে। তারপরই সঞ্চালকদের অনুরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তখন মুখ্যমন্ত্রী পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা একটা সরকারী অনুষ্ঠান। কোনো রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ যে তাঁরা কলকাতায় এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে অপমান করা উচিত নয়”। তারপরই ‘জয় হিন্দ’ ‘জয় বাংলা’ বলেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মঞ্চ ত্যাগ করলেন।