চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস ডেলিভারি সিস্টেম’ নিয়ে দু’দিনের আলোচনা শেষে বিজেপি পরিষদীয় দল ভোটাভুটি চেয়েছিল। কিন্তু আজ দু’জন বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারলেন না।
ভোটাভুটি পর্বে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন কক্ষের দরজা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। এরপর শাসক দল ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে ভোটাভুটির জন্য স্লিপ বিতরণ হয়। স্লিপ বিতরণের পর ভোটাভুটির সময় শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাঝি অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করলে বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদ জানান।
আর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, “স্লিপ বণ্টনের সময় বাইরে থাকা মন্ত্রী-বিধায়করা ভোটাভুটিতে অংশ নিলে তারা ওয়াক আউট করবেন।” এই সময় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন ও বিধায়ক বিবেক গুপ্ত বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে স্পিকারের নির্দেশ শুনতে পেয়ে অধিবেশন কক্ষের বাইরেই দাঁড়িয়ে যান।
এদিকে বিজেপি পরিষদীয় দল বাইরে থাকা মন্ত্রীরা অধিবেশন কক্ষে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেয়। আর বিজেপির বেশীর ভাগ বিধায়ক শ্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। শেষে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন মনোজ টিগ্গাকে ওয়াকআউট না করতে অনুরোধ করেন।
পাশাপাশি জানান, ‘‘বাইরে থাকা কোনো মন্ত্রী বা বিধায়ককে ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।’’ ফলে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষে ফেরেন। তারপরেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে বলেন, ‘‘প্রস্তাবটি ১০১-৪২ ভোটে পাশ হয়।’’ কিন্তু তৃণমূলের বিধায়করা মন্ত্রীদের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তৃণমূলের এক জন বিধায়কের কথায়, ‘‘যখন এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছে তখন আমাদের বিধানসভার প্রতিটি নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত। এক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রী-বিধায়করা যে আচরণ করেছেন তা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।’’