নিউজ ডেস্কঃ করাচিঃ করাচির ইব্রাহিম হায়দারি গ্রামের বাসিন্দা মাছ বিক্রেতা হাজি বালোচ মাছ ধরতে গিয়ে রাতারাতি সাত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন। যা তার কল্পনাতীত।
সূত্রের খবর, হাজি মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এই মাছ ধরা তার পেশার পাশাপাশি নেশাও ছিল। প্রতিদিনের মতো এদিনও ভোরবেলা কাঁধে জাল ফেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। অন্য দিন সাথে বাকি জেলেরা থাকলেও এদিন একা ছিলেন।
জাল ফেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষার করার পর টান দিতেই অন্য দিনের মতো জল থেকে জাল তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। এরপর নৌকায় জাল তুলতেই রীতিমতো চমকে উঠে দেখেন ছোটো ছোটো মাছের ভিড়ে দু’হাত সমান একটা গোল্ডেন ফিশ। ওজন প্রায় ৩০-৪০ কেজি। আর দাম প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি।
ততক্ষণ অন্য নৌকা নিয়ে বাকি জেলেরাও মাছ ধরতে এসে গিয়েছেন। হাজির হাঁকডাক শুনে তারাও চলে আসেন। এমন বহুমূল্যের মাছ ধরার খবর ছড়িয়ে পড়তে হইচই পড়ে যায়। অনেকেই মাছটি কেনার জন্য ছুটে আসেন। মাছ কেনার এতো ক্রেতা দেখে সেখানেই নিলাম ডাকা হয়। আর সাত কোটি টাকা দিয়ে এক জন ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নেন।
এই গোল্ডেন ফিশের অন্য নাম ‘সোয়া’। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই মাছের চাহিদা আকাশছোঁয়া। সোয়া মাছের আঁশ ও তেল অনেক কঠিন রোগের ওষুধ তৈরীতে কাজে লাগায় আন্তর্জাতিক বাজারে এই মাছের চাহিদা ব্যাপক। হাজি জানান, ‘‘মাছটি একা ধরলেও, নৌকা, জাল কেনার জন্য বাকি জেলে বন্ধুদেরও এখান থেকে টাকা দেবেন।’’