নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কাশ্মীরঃ গতকাল কাশ্মীরে এক ঘণ্টার মধ্যে জঙ্গীগোষ্ঠী তিন জনকে গুলি করে মারলো। যাদের মধ্যে একজন হকার, একজন রসায়নবিদ ও একজন ট্যাক্সি ইউনিয়নের সভাপতি আছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সত্তোরোর্ধ রসায়নবিদ মাখনলাল বিন্দ্রো শ্রীনগরের ইকবাল পার্ক অঞ্চলে বিন্দ্রো মেডিক্যাল ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকান চালাতেন। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ জঙ্গীরা মাখনলালবাবুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বিন্দ্রোকে হত্যার তীব্র নিন্দা করে জানান, “ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। বিন্দ্রো খুবই দয়ালু মানুষ ছিলেন। যখন জঙ্গী তত্পরতা তুঙ্গে তখনও কাশ্মীর ছেড়ে যাননি। দোকান খোলা রেখেছিলেন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই”।
বিন্দ্রোকে হত্যার কিছুক্ষণের মধ্যে জঙ্গীরা শ্রীনগরের অদূরে লালবাজার অঞ্চলে হানা দিয়ে বিহারের বাসিন্দা বীরেন্দ্র পাসোয়ান নামে এক বিক্রেতাকে গুলি করে মারে। বর্তমানে বীরেন্দ্র শ্রীনগরের জাদিবাল অঞ্চলে থাকতেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই জঙ্গিরা বান্দিপোরা অঞ্চলে হানা দিয়ে আবারও স্থানীয় ট্যাক্সি ইউনিয়নের সভাপতি মহম্মদ শফিকে গুলি করে মারে।
এর আগে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় শ্রীনগরের কারানগর অঞ্চলে মজিদ আহমেদ গজরি নামে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে আহমেদকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিতস্কেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই নিয়ে গত চারদিনে জঙ্গীরা বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করলো।
পুলিশ জঙ্গী হানার পরেই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। এদিন সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট নাগাদ অনন্তনাগে সিআরপিএফের বাঙ্কারে গ্রেনেড ছোঁড়া হলেও কেউ হতাহত হয়নি। তবে সন্ধ্যা ৮ টার সময় বাতমালু অঞ্চলে মহম্মদ শাফি দার নামে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে শাফি দার গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত জঙ্গীদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।