ব্যুরো নিউজঃ কুয়েতঃ আজ ভোরবেলা দক্ষিণ কুয়েতের মাঙ্গাফ শহরের এক আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। এই ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আর তার মধ্যে অন্তত পাঁচজন ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে। নিহত পাঁচ ভারতীয়র মধ্যে দুজন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। বাকিরা উত্তর ভারতের। তবে, কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও ভারতকে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, ভবনটিতে অধিকাংশই শ্রমিক থাকতেন। কোনও একটি রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা অংশ জুড়ে। কিছু বাসিন্দা আগুন দেখে আতঙ্কে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নীচে লাফ দিয়ে পড়ে মারা গিয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে অথবা ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে। কুয়েত সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনও বেশ কয়েকজন ভিতরে আটকে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রায় ৪৩ জনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ, এই চারজন তাঁদের বাইরে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল দলগুলি তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কুয়েতের মেজর জেনারেল ইদ রাশেদ হামাদ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় ভোর ৬টা নাগাদ পুলিশ অগ্নিকাণ্জের খবর পেয়েছিল। তিনি বলেন, “যে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক থাকতেন।
আমরা কয়েক ডজন শ্রমিককে উদ্ধার করতে পেরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্ভবত ওই ভবনে জায়গার তুলনায় অনেক বেশি শ্রমিককে একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই বিপদের মাত্রা বেড়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সবসময় সতর্ক করি, এক জায়গায় গাদাগাদি করে শ্রমিকদের রাখবেন না।” তবে, ওই শ্রমিকরা কোথায় কাজ করতেন, কী কাজ করতেন, তা জানানো হয়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ ভবনটির মালিকও একজন ভারতীয়। কেজি আব্রাহাম নামে এক মালোয়ালি ব্যবসায়ী বাড়িটি ভাড়া দেন। বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত বাড়িটিতে প্রায় ১৯৫ জন শ্রমিক থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ছিলেন।