চাষের জমিতে জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত বহু চাষী

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ অসময়ের বৃষ্টিতে ধানের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিঘার পর বিঘা ধান চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও চাষের জমির জল বিভিন্ন এলাকাতে এখনো দাঁড়িয়ে।

এমনকি জমিতে পরিপক্ক ধান গাছ সমেত জলের নীচে আছে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক কৃষক ক্ষতির মুখে আছে। বৃষ্টি কমতেই ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া, ঝাল আলতাগ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, ঝাড় আলতাগ্রাম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সহ সমগ্র ব্লকের বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের চিত্রই ধরা পড়ল।


কোথাও পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে রয়েছে আবার কোথাও ধান গাছে পচন ধরতে শুরু করেছে তো আবার কোথাও আবার ধান মাড়াইয়ের জন্য গাছ কেটে জমিতে রাখা হলেও সেই জমিতে এই মুহুর্তে হাটু জল। মূলত এই সময় ধান কাটার সময়। কিন্তু জমিতে জল বা বৃষ্টির আঘাতে ধান গাছ পড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ ধানই নষ্ট হয়ে যাবে বলে চাষীরা আশঙ্কায় রয়েছেন।


ব্লক কৃষি অধিকর্তার দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ধূপগুড়ি ব্লকে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়ে থাকে। যার মধ্যে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতির মুখে।


বারোঘরিয়া এলাকার চাষী প্রফুল্ল রায় জানান, “ছয় বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু দুই দিনের বৃষ্টিতে প্রায় তিন বিঘা ধান জমিতে পড়ে গিয়েছে। গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। সেই গাছ থেকে ধান বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে”।

খুরদুস আলি নামে এলাকার অপর একজন কৃষক বলেন, “প্রায় তিন বিঘা জমির ধান কেটে রাখা অবস্থাতেই জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। এতে ধান চাষে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আগামীতে চাষবাস কিভাবে করবেন তা নিয়ে আশঙ্কায় দিন গুনছেন। যদি কোনো সরকারী সাহায্য মেলে তার আশায় বুক বেঁধেছেন”।

ব্লক কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক ও বিভিন্ন সার্ভে করতে আসা এজেন্সিরা যৌথ ভাবে জমি গুলি পরিদর্শন করছেন। এই মুহুর্তে ফসল বীমা যোজনা অনুযায়ী যদি তারা আওতায় আসে তাহলে ক্ষতিপূরন পাবেন।

এছাড়াও একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে যে যদি কোনো নির্দেশিকা আসে তাহলে অবশ্যই দেখা হবে এই যে এখনো সমস্ত ফসল কাটা হয়নি সেগুলিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হবে যাতে গাছে ছত্রাক নাশক স্প্রে করা হয়। আর তাতে ধান অনেকটাই লাভবান হবে”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930