চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ আজ নিউটাউনের ইকো পার্কে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমতি দিলেন। আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে বন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন।
সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা উপস্থিত ছিলেন। আর কিরণ আদানি অনুমতিপত্র হাতে পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আয়োজিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে তাজপুরে বন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্য প্রশাসনের এক জন আধিকারিক জানান, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পপতিদের সামনে আদানি গোষ্ঠীর হাতে অনুমতিপত্র তুলে দিয়ে বোঝাতে চাইলেন, রাজ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। চাইলে অন্য শিল্পপতিরাও বিনিয়োগ করতে পারেন। রাজ্য সরকার সব ক্ষেত্রেই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’’
উল্লেখ্য, পনেরো হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে নির্মিত এই বন্দরের প্রাথমিক ভাবে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করা হবে। বাংলায় প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের পরিকাঠামো গড়তে আরো দশ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় পঁচিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে এই নতুন বন্দরটি নির্মিত হবে।
তাজপুর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এই বন্দরটি নির্মিত হলে জলপথে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হয়ে প্রত্যক্ষ ভাবে পঁচিশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। ডানকুনি ও রঘুনাথপুর শিল্পনগরী থেকে এই বন্দরে যাতায়াত অতি সুবিধাজনক বলেই দাবী করা হয়েছে। চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতি গৌতম আদানি তাজপুর বন্দর নিয়ে নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছিলেন। আর এদিন তাতে সরকারী সিলমোহর পড়ে গেল।