নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলংঃ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলংয়ের মুখরোয় বনরক্ষীদের গুলিতে নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন। এই সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘালয় তৃণমূল পর্যবেক্ষক মানস ভুঁইয়া, মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা ও তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পাইনগ্রোপ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলায় ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশের গুলিতে বা রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা গেলে তাদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করত। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই মেঘালয়েও বনরক্ষীদের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করলেন। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে তাদের বর্তমান পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর সেদিনের গুলিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল কিভাবে তাও শোনেন। সব কথা শোনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মেঘালয়ে তৃণমূলে সরকার হলে তাদের পরিবারের জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্যই কিছু ভাববে।” এরপর সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে যান। যাওয়ার পথে মেঘালয় সংস্কৃতির পরিচিত ঢোল বাজান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২২ শে নভেম্বর বনকর্মীরা মেঘালয় এবং অসম সীমান্তের পশ্চিম জয়ন্তীয়া এলাকায় ট্রাক বোঝাই কাঠের চোরাচালান আটকাতে গিয়ে ট্রাকের টায়ার লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ট্রাক চালক, খালাসি ও আরো এক জন আটক হন। আর বাকিরা পালিয়ে যান। এরপর বনকর্মীরা স্থানীয় জিরিকেনডিং থানায় খবর দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তারপর ভোরবেলা ৫ টা নাগাদ কিছু এলাকাবাসী দা হাতে এসে চড়াও হয়ে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবীতে বনকর্মীদের ঘেরাও করেন। এরপর বনকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা গুলি চালালে তাতে অসম-মেঘালয় সীমানায় ছয় জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে তিন জন খাসি সম্প্রদায়ের ও এক জন বনকর্মী ছিলেন।
তখন এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করে টুইট করে লিখেছিলেন, “মেঘালয়ের মুখরোতে অনভিপ্রেত ঘটনায় ছয় জনের প্রাণ কেড়ে নিল। এই ঘটনার জন্য গভীর ভাবে শোকাহত।”