অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বাম আমলের শেষ মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ইতিমধ্যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাম অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছালেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকাহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্যে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছেন। আর বর্ষীয়ান বাম নেতার শেষযাত্রায় সব রকম সহযোগীতার আশ্বাসও দিয়েছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে গোটা রাজনৈতিক মহল শোকস্তব্ধ।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আজ সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছি। আগামীকাল রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে আমরা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চাই। তিনি দীর্ঘ দিন বিধানসভার জনপ্রতিনিধি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। একাধিক দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যু রাজ্যের পক্ষে বড়ো ক্ষতি।” এছাড়া বলেন, “তিনি যত বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন। এটা আমাদের কাছে বড়ো প্রাপ্তি ছিল। মৃত্যুর বয়স হয়তো এখনো হয়নি। কিন্তু শারীরিক সমস্যা ছিল, শ্বাসকষ্ট হত। আমি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পরিবারের সকলকে, সিপিএম তথা বামফ্রন্টের প্রত্যেককে ও আমাদের প্রত্যেক সহনাগরিককে সমবেদনা জানাচ্ছি।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে যান। এছাড়া পাম অ্যাভিনিউয়ের অপর একটি ফ্ল্যাটে থাকেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য থাকেন। এদিন প্রদীপ ভট্টাচার্যও তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছে গিয়েছেন। পাশাপাশি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও ফ্ল্যাটে পৌঁছে গিয়েছেন। তাছাড়া বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী ও সূর্যকান্ত মিশ্রও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় কার্যালয় থেকে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে চলে গিয়েছিলেন।
আর দলীয় কর্মী-সমর্থকেরাও বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও কলকাতায় পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর চক্ষুদান প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এদিন দুপুর অবধি মরদেহ নিজস্ব ফ্ল্যাটেই রাখা হবে। রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে থাকবে। আগামীকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ সিপিএমের রাজ্য দপ্তর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে শায়িত থাকবে। সেখানেই সাধারণ মানুষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। আর বিকেলবেলা অন্তিম যাত্রার পর এনআরএস হাসপাতালে দেহ দান করা হবে।