নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসানসোলঃ আসানসোল পুরসভার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাকড়াসোতায় পরিশ্রুত পানীয় জলের কল সংযোগের উদ্বোধনকে ঘিরে গ্রামবাসীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অগ্নিমিত্রা পালকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ শ্লোগানও দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা ইস্কো সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (সিএসআর ফান্ড) থেকে পানীয় জলের কল সংযোগের উদ্বোধনের জন্য অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত হন। এরপরই অগ্নিমিত্রা পালকে ঘিরে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এছাড়া তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে ধস্তাধস্তিও চলে। পুলিশকে পরিস্থিতি সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
স্থানীয়দের দাবী, ‘‘দীর্ঘ দিন থেকে পানীয় জলের সমস্যা। বহু বার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। এখন এলাকাবাসীর আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা সেল সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জলের কল তৈরী করে দিয়েছে। তাই কল উদ্বোধনের কৃতিত্ব কোনো রাজনৈতিক দলকে চুরি করতে দেওয়া হবে না। এই কারণে অগ্নিমিত্রা পালকে আটকে দেওয়া হয়েছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু অগ্নিমিত্রা পালের দাবী, ‘‘ইস্কো কর্তৃপক্ষ তাঁকেই চিঠি দিয়ে নলের মাধ্যমে জল সংযোগের খবর জানিয়েছে। তিনি উদ্যোগ নেওয়াতেই সাধারণ মানুষের জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে অশান্তি শুরু করেছে। এটা তৃণমূলের সাজানো গেমপ্ল্যান। তৃণমূল সরকার নিজেও কাজ করবে না। কাউকে কাজ করতেও দেবে না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে এসে তাই ‘গো ব্যাক অগ্নিমিত্রা’ স্লোগান দেওয়ানো হচ্ছে। কি জন্য গো ব্যাক? অগ্নিমিত্রা কাজ করতে চাইছে বলে! আসলে, জলের সমস্যার সমাধান হোক তা তৃণমূল কাউন্সিলর চান না। আমি বিজেপির বিধায়ক। আমাকে নাকি তৃণমূলের কাউন্সিলরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে! এটা কি সংস্কৃতি?’’
এদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপ মাজি পাল্টা জানান, ‘‘এলাকাবাসী স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের স্থান নেই। তৃণমূলেরও কেউ নেই। তা হলে অগ্নিমিত্রা কোন আক্কেলে কৃতিত্ব দাবী করতে আসেন! বাইরের এক জন লোকও ছিল না। সবাই স্থানীয় বাসিন্দা। তারা কোনো দলের পতাকা নেননি। জলের কল উদ্বোধন করে নাম কিনতে না পেরে অগ্নিমিত্রার গোসা হয়েছে।’’