নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ কোচবিহারের দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রাথমিকে চাকরী দেওয়ার নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকা নেওয়া ও পরে টাকা ফেরত চাইলে চাকরীপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। পরে ওই অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে তিনি সমস্ত অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবী করেন।
জানা গিয়েছে, অঞ্চল সভাপতি এক মহিলাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরীর টোপ দিয়ে ওই মহিলার বাবার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নেন। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরী না হওয়ায় সে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু হয়। তারপর গত ১৪ ই মার্চ অঞ্চল সভাপতি ওই মহিলাকে চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়ার নামে ডেকে গাড়িতে করে অন্যত্র একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান। আর সেখানে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এমনকি নগ্ন ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে রেখে ব্ল্যাকমেইল করেন। পাশাপাশি নগ্ন ভিডিয়ো স্বামীর ফোনে পাঠিয়ে দেবেন বলেও হুমকি দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর গতকাল ওই মহিলা ও তার বাবা দিনহাটা মহিলা থানায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং চাকরীর নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করেন। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জানান, “পারিবারিক একটা সমস্যা। মারামারি হয়েছে। এবার সেটাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপারে কিছু বলব না, পুরোটাই চক্রান্ত।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি আব্দুল জলিল এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটাই প্রমাণ করে দিল, বাংলায় আইনের শাসন রয়েছে। কেউ অপরাধ করলে, তা প্রমাণিত হলে, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে তা হয় না।” অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেছেন, “এটা ওদেরই কালচার। সারা বাংলায় এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। যে অভিযুক্ত তার কঠোরতম শাস্তি চাই।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here