নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়খণ্ডঃ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা RJD (Rashtriya Janata Dal) প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে আজ ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি বিশেষ সিবিআই আদালত পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তোলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
লালু প্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বিহারের পশুপালন দপ্তরের তহবিলের সাথে এই মামলাটি জড়িত। ইতিমধ্যে তিনি কুখ্যাত ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সাথে সম্পর্কিত আরো চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে দুমকা কোষাগার থেকে ৩৬ কোটি টাকার প্রতারণা, চাইবাসা কোষাগার থেকে ৩৭.৭ কোটি ও ৩৩.১৩ কোটি টাকার প্রতারণা এবং দেওঘর কোষাগার থেকে ৮৯.২৭ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে।
এদিকে ২০১৮ সালে দুমকা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। অর্থাৎ বর্তমানে লালু প্রসাদ যাদব পাঁচটি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যেখানে ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে লালু প্রসাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। এদিন তাঁর প্রাপ্ত শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
তবে লালু প্রসাদ যাদব আগের চারটি অভিযোগের বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। সম্ভবত এটিকেও চ্যালেঞ্জ জানাবেন। এটিও গবাদি পশুর জন্য সরকারী তহবিল লোপাটের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এখন অবধি লালু প্রসাদ যাদবকে মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়া চারটি মামলাতে জামিনে রয়েছেন।
যদিও এই মামলায় তিন বছরের বেশী শাস্তি ঘোষণা করা হলে তাঁকে জেলে ফিরে যেতে হবে। মোট ৯৯ জন আসামির মধ্যে অন্য ২৪ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত অন্যদের মধ্যে প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা ও তৎকালীন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগতকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।