নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন মামলায় গ্রেফতার এই হামলার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাঁ। এদিন কলকাতার বাসিন্দা ললিত নিজেই মহেশ নামে এক জন ব্যক্তির সঙ্গে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। পরে নয়াদিল্লি জেলা পুলিশ তাকে স্পেশাল সেলের কাছে হস্তান্তর করে। আজ পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির করা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে গ্রেফতার হওয়া সকল অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ললিতের কাছে ছিল। পুলিশ গ্রেফতার হওয়া বাকি চার জন অভিযুক্ত অর্থাৎ সাগর শর্মা, কর্ণাটকের মহীশূরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন, ২৫ বছর বয়সী অমল ও ৩৭ বছর বয়সী নীলমের সাত দিনের রিমান্ড পেয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গত বছর ললিত প্রথমবার সাগর এবং মনোরঞ্জনের সাথে দেখা করেছিল। এরপর তিন জন মিলে দেশের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সংসদে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছিল। পরে অমল ও নীলমও এই চক্রে যোগ দেয়। এই ঘটনার পর ললিত সংসদ ভবনের বাইরে শ্লোগান দেওয়ার ভিডিয়ো তৈরী করে তা পোস্ট করার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাসে রাজস্থানের নাগৌরে যায়।
তারপর সেখানে দুই বন্ধুর সাথে দেখা করে এবং একটি হোটেলে রাত কাটায়। এরপর যখন ললিত বুঝতে পারে যে পুলিশ তাকে খুঁজছে, তখন ললিত বাসে করে দিল্লিতে এসে আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ ললিতকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, ললিতের নির্দেশে মনোরঞ্জন চলতি বছরের জুলাই মাসে বর্ষাকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদ ভবনের রেকি পরিচালনা করেছিল।