অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল রাতে কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডলে করা একটি পোস্ট নিয়ে রাজনীতি মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু এদিন সকালে দেখা গিয়েছে, কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডলের বায়ো থেকে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজনীতিকের পরিচয়টা মুছে দিয়েছেন। এখন শুধুই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী হিসেবে পরিচয় রেখেছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।
গতকাল তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে। সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই পোস্টে কারোর নাম উল্লেখ না করায় পোস্টটি কার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল তা নিয়ে কৌতূহলও তৈরী হয়েছিল যে কুণাল ঘোষ কাকে ইঙ্গিত করছেন? তৃণমূলের অন্দরে অনেকের বক্তব্য, ‘‘কুণাল ঘোষের ওই পোস্ট উত্তর কলকাতার নেতা এবং রাজনীতিকে ঘিরে।’’
আবার অনেকে বলেই দেন, ‘‘ওই পোস্ট উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে।’’ এমনকি গতকাল সন্ধ্যেবেলা তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সন্দেশখালি সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তাও মুছে ফেলেন। তবে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে বায়োর বদল নিয়ে কুণাল ঘোষের ঘনিষ্ঠরা দাবী করেন যে, ‘‘গতকালের পোস্টটি আপাতদৃষ্টিতে বিস্ফোরক হলেও সাধারণ ও প্রত্যাশিত বিষয়। কিন্তু বায়ো পরিবর্তনের পিছনে আরো বড়ো কারণ রয়েছে।’’এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অনেকে এই বিষয় অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, ‘‘কুণাল ঘোষ নাম না করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যে পোস্ট করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে দলের শীর্ষমহল থেকে কিছু বলা হয়ে থাকতে পারে। এর জেরে অভিমানবশত কুণাল ঘোষ নিজের বায়ো পরিবর্তন করেছেন।’’ কিন্তু এর আগেও দলের সাথে মন কষাকষির সময়েও কখনো দেখা যায়নি যে, নেট মাধ্যমে তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র হিসাবে নিজের পরিচয় মুছে দিচ্ছেন। তাই এবারের ঘটনা একেবারে নজিরবিহীন। এখন দেখা যাক দিন গড়ানোর সাথে সাথে পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়। ফলে এখন সবটাই সময়ের অপেক্ষা।