মহুয়ার আপত্তিতে প্রচারে বাধা পড়লো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ শাসকদলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। আবার দুই সাংসদ তথা মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ প্রায়শই প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নদীয়ার কালীগঞ্জের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিবাদ সামনে এসেছে। আর বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মহুয়া মৈত্রের আপত্তিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচারে যেতে পারছেন না। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিষয়টি আসে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে নানা বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। ঘটনাক্রমে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে উপস্থিত ছিলেন। নানা কথার মাঝখানে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ আসে। সূত্রের দাবি, সেইসময় কল্যাণ বলেন, তিনি কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে প্রচারে যেতে চান। কিন্তু মহুয়ার ভেটোতে যেতে পারছেন না তিনি। সূত্রের দাবি, কল্যাণের বক্তব্য শোনার পর নাকি মুখ্যমন্ত্রী আইপ্যাকে ফোন করেন। এবং ফোনে যাবতীয় আপডেট নেন।

এরপরই কল্যাণকে প্রচারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানান। প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জ বিধানসভা যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। আবার তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও তিনি। শাসকদলের একাংশের মতে, ‘‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় দলের ডেপুটি লিডার হওয়ার পরই মহুয়া মৈত্র-সহ বেশ কয়েকজন সাংসদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।


মূলত অধিবেশনে ভাষণ রাখার সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে গোলমাল বাধে বলে খবর। তাঁকে বক্তব্য রাখার জন্য এত কম সময় কেন ধার্য করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তোলেন মহুয়া। কিছুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পাল্টা নাম না করে মহুয়াকে তীব্র আক্রমণ করেন কল্যাণ। সূত্রের খবর, সেই ঘটনার রেশ এখনও অব্যাহত। আর তারই প্রতিফলন কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে কল্যাণের প্রচারে যাওয়া নিয়ে মহুয়ার আপত্তি। আর কৃষ্ণনগরের সাংসদের আপত্তি এতটাই জোরালো যে তা মেনে নেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো।’’


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930