নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ আজ বীরভূমের সিউড়ি ও রামপুরহাটে রামনবমীর শোভাযাত্রাতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়। রামপুরহাটে বাসন্তী উৎসব কমিটির তরফে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। সিউড়ির ছোড়া গ্রাম থেকে এই মিছিল শুরু হয়। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই মিছিল করা হয়। মিছিলে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় পা রেখেছিলেন। এদিন মিছিলে বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে দেখা যায়। কাজল শেখ নানুর বিধানসভা এলাকার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেরুগ্রামে রামনবমী পুজোয় অংশ নেওয়ার পর নিজে হাতে ভোগও বিতরণ করেন।
এরপর ওই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতার হাতে ধ্বজা ও ত্রিশূল তুলে দেওয়া হয়। এদিন কাজল শেখ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি।কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলকে দেখা যায়নি। এদিন কাজল শেখ জানান, “এখনো অবধি জেলায় কোনো অশান্তির খবর আসেনি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই সমাবেত হোক। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। আমাকে কমিটির সদস্যরা ত্রিশূল উপহার দিয়েছে।” এদিকে, শ্রীরাম সেবা সমিতির তরফ থেকে দুবরাজপুরের রাম সীতা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয়েছে। এই শোভাযাত্রা রাম সীতা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে দুবরাজপুর শহর পরিক্রমা করে পন্ডিতপুর মোড় পর্যন্ত যায়।
জয় শ্রীরাম সেবা সমিতির উদ্যোগে এই শোভাযাত্রা হলেও তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলকেই একত্র হতে দেখা যায়। এদিন শোভাযাত্রায় বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা, জেলাল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী, বিজেপির দুবরাজপুর শহর সভাপতি দেবজ্যোতি সিংহ ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা সহ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে, শহর বিজেপির কার্যকরী সভাপতি অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য কাউন্সিলর সহ নেতা-কর্মীরা হেঁটেছেন। এককথায় কড়া পুলিশের নজরদাতীতে রামনবমীর শোভাযাত্রা করা হয়।
ওদিকে আবার, সিউড়ি জেলা তৃণমূলের কার্যালয় থেকে তৃণমূল রামনবমীর মিছিল করে। সেই মিছিলে বীরভূম লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায় উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শহর পরিক্রমা করে সিউড়ি চৈতালী মোড়ে সমাপ্ত ঘটে। সেখানেই রামের পূজার্চনা শুরু হয়। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডল রামনবমী প্রসঙ্গে বলেন, “সব জায়গায় মিছিল হচ্ছে। যে কৃষ্ণ সেই রাম, রাম সবার। গোটা জেলা জুড়ে মিছিল হয়েছে। কোথাও কোনোরকম অশান্তি হয়নি।”