অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি জট কাটতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন আগে পরীক্ষা হয়ে গেলেও ওবিসি জটে বারবার ফলপ্রকাশ আটকে যায়। তবে এবার পড়ুয়ারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। এদিকে, রাজ্যের তৈরী করা ওবিসি তালিকায় কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি ছিল না। পরে সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলা যায়। আজ শীর্ষ আদালত সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিতেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশ হল মেধাতালিকাঃ রইলো প্রথম দশে থাকা তালিকাঃ
প্রথম- পার্ক সার্কাসের ডন বসকো স্কুলের ছাত্র অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী,
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereদ্বিতীয়- কল্যাণীর সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের ছাত্র সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস।
তৃতীয়- ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র দিসান্ত বসু।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereচতুর্থ- ডিপিএস রুবি পার্কের ছাত্র অরিত্র রায়।
পঞ্চম- দুর্গাপুরের পার্ভ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র তৃষাণজিত দলুই।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereষষ্ঠ- মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক পাত্র।
সপ্তম- পূর্ব বর্ধমানের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায়।
অষ্টম- খড়গপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র অর্চিস্মান নন্দী।
নবম- রাজারহাটের ডিপিএসের ছাত্র প্রতীধ ধানুকা।
দশম- বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের ছাত্র অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইনী জটে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল এতটা পিছিয়ে যাওয়ায় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়তে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি আটকে থাকায় অনেকেই কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। অনেকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ভিনরাজ্যেও পাড়ি দিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, শিবপুর সহ সব জায়গায় ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে ছিল। এখনো কাউন্সেলিংয়ের সময় জানানো হয়নি। তবে শীঘ্রই বোর্ডের তরফে তা প্রকাশ করবে।
উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ ছিল, পুরোনো ভর্তির বিজ্ঞপ্তি মেনে সাত শতাংশ সংরক্ষণই দিতে হবে। ২০২৪ সালে মামলা হওয়ার আগে সাত শতাংশই সংরক্ষণ ছিল। কিন্তু ২০১১ সালের ওবিসি সংশোধনের নিয়ম অনুসারে এখন রাজ্য সরকার সতেরো শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ করতে চায়। তাতে হাইকোর্টের আপত্তি ছিল। এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফলাফল প্রকাশের পর উত্তীর্ণ সকল ছাত্র-ছাত্রীর উদ্দেশ্যে জানান, “উত্তীর্ণ সকল ছাত্র-ছাত্রীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তোমাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরও আমার অভিনন্দন জানাই। যারা কোনো কারণে ভালো ফল করতে পারনি, তারা মন খারাপ করোনা। মন খারাপ না করে ভবিষ্যতে যাতে ভালো হয় তার প্রস্তুতি নাও। আইনী জটিলতায় ফলপ্রকাশে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু দেরী হল। বিশ্বাস রাখি, সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে আগামীর দিনগুলিতে তোমরা আরো সফল হবে’, বাংলার মুখ তোমরা উজ্জ্বল করবে।”