মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণার জগদ্দল বিধানসভা এলাকার পলতা পাড়া এলাকায় ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। আর সেখানেই বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি লাগার অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ‘মিতালি সঙ্ঘ’ ক্লাব দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। সেই ঘটনা নিয়েই তীব্র বচসা বাধে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার। প্রথমে শুরু হয় ঝগড়া তারপর তা গিয়ে পৌঁছয় মারামারিতে। সেইখানেই বাবা মোসারফ হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে লাথি খান এক প্রসূতি মহিলা উর্মিলা খাতুন। এরপরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মহিলা। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হননি।
বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রিয়াংশু পান্ডে নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “মিতালি ক্লাবের তোলাবাজি কার দখলে থাকবে তাই নিয়ে তৃণমূল-তৃণমূল লড়াই করছে। আর তার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও।” প্রসূতির বাবা বলেন, “আমি হোটেলে কাজ করি। বাড়ি তো থাকি না। আমাদের বাকি ছেলেরা সেই সময়ই কাজ করছিল ক্লাবে। তখনই একদল দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। কেন করল জানি না। আমায়ও ফোন করে ডেকে নেয় ওরা। সেই সময় আমি আসি ক্লাবে। আমায় মারধর করে। মেয়ে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে শুধু জগদ্দল নয়, উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে টিটাগড়ও। সেখানে পুজো মিটতেই মদ্যপদের দাপট অব্যাহত। শুধু তাই নয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের কিল-ঘুষি। এমনকী চড় মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিশ। লাঠিপেটা করা হয়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে।