অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্যে ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামে ভুল। আর সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের মা-বাবার নাম এক। এমনকি ১৫ বছরের কম বয়সে ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার জন বাবা হয়েছেন। এছাড়া রাজ্যে ছ’সন্তানের বাবা ২৪ লক্ষ ২১ হাজার জন ও ৪০ বছরেরও কম বয়সে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার জন ঠাকুরদা হয়েছেন। এমন ব্যক্তি ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ জন ভোটার। অর্থাৎ যদি গোটা পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখা হয়, তাহলে সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ভোটার।

রাজ্যে সাড়ে তেরো লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম মা-বাবা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে এক জনের ক্ষেত্রে ওই পরিবারে বাবার নাম যা, আরেক জনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে। নাম-বয়সে ভুল থাকায় মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশী কিছু ভোটার হিয়ারিংয়ে ডাক পেতে পারেন। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফের এই সমস্ত ভোটারদের তথ্য যাচাই করা হবে। বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করবেন। এরপর শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে রোল অবজারভারদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই তথ্য সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার এই প্রসঙ্গে জানান, “পুরোটাই আসলে ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন সময় বামেরা, তারপর তৃণমূল সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আসল ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি। পনেরো বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই আসলে ভূতুড়ে ভোটার হয়ে এইসব লোকদের জিতিয়ে এসেছে।” অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “কোথায় বাবার নামে ভুল রয়েছে, কোথায় একাধিক ক্ষেত্রে বাবার নাম এক, এগুলো সবই খতিয়ে দেখা নির্বাচন কমিশনের কাজ। সারা বছর ধরে হয়ে থাকে। যদি এরকম কোনো তথ্য সামনে এসে থাকে, তাহলে তা বাদ যাবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









