নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ অবশেষে হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে তিন বছর ধরে চলা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তদন্তের ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা করল রানাঘাট মহকুমা আদালত। গতকাল আদালত ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। আর আজ বিচারক সৌমেন গুপ্ত তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিন জনকে যাবজ্জীবন সাজা শোনান। আর চার জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত এক জন নাবালক সহ দু’জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বন্ডে শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জামিন দেন।

দোষীরা হলো সমরেন্দ্র গয়ালি, সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার, রঞ্জিত মল্লিক, সুরজিৎ রায়, আকাশ বারুই, দীপ্ত গয়ালি, পীযূষকান্তি ভক্ত, অংশুমান বাগদি। ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালিই এই মামলায় মূল অভিযুক্ত। তার সঙ্গী হিসেবে ছিল রঞ্জিত মল্লিক, প্রভাকর পোদ্দার। তিন জনকেই গণধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা, পকসো মামলায় ২০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সোহেল গয়ালির বাবা সমর গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি, পীযূষ ভক্তকে নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখানো-সহ অপরাধীকে আড়ালের অভিযোগ ছিল। তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য তিন বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

সুরজিৎ রায় ও আকাশ বারুই, দু’জনকেই আজ ৫০ হাজার টাকার বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময়ে একজন নাবালক ছিল। তাই তাকে রিলিজ করা হয়। অন্য জনের বয়সের দিকে তাকিয়ে আদালত বলেছে, এক বছর তাকে নজরে রাখা হবে। এই সময়ে তার ব্যবহার সন্তোষজনক হলে, প্রবিশন অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুরোপুরি মুক্ত হবে। অংশুমান বাগদীকে প্রমাণ লোপাটে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নাবালিকাকে তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গয়ালির ছেলে ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালির বার্থ ডে পার্টিতে ডাকা হয়েছিল। নাবালিকা ওই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেখানে গেলে তাকে সোহেল এবং তার কয়েক জন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর নাবালিকা বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে বাড়িতেই মৃত্যু হয়। এর পরেই বাড়ির কাছে একটি শ্মশানে লুকিয়ে দাহ করা হয় দেহ। ৪ এপ্রিল মারা যায় নাবালিকা। ৯ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।










