নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ নদীয়ার হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকায় গত সোমবার ঘটে যাওয়া ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযোগ দায়ের হতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গোয়ালীর ছেলে অভিযুক্ত সোহেল গয়ালী ওরফে ব্রজগোপাল গয়ালীকে রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালত ১৪ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নাবালিকা প্রেমিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সোহেল গয়ালীর বিরুদ্ধে। এমনকি ওই নাবালিকার অত্যধিক রক্তপাতে মৃত্যুও হয়। পাশাপাশি ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পরিবারের তরফ থেকে এও অভিযোগ উঠছে যে, ওই দাহকার্যে যে শ্মশানকর্মী যোগ দিয়েছিলেন এই ঘটনার পর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তারও সন্ধান করছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
হাঁসখালির ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবী জানিয়ে মৌন মিছিল বের করছে। স্থানীয় বিধায়ক আশিস বিশ্বাস নেতৃত্বে থাকছেন। কিন্তু এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই ঘটনার প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে জানান, ‘‘ঘটনাটা খারাপ তবে আপনি রেপ বলবেন না কি প্রেগনেন্ট বলবেন নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন? গ্রেপ্তার হয়েছে। মেয়েটির নাকি ছেলেটির সাথে লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল শুনেছি।’’
বাড়ির লোকেরা ও প্রতিবেশীরা সেটা জানত। এখন যদি কোনো ছেলেমেয়ে প্রেম করে সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, যে লভ জিহাদ প্রোগ্রাম করব।’’
‘‘আর মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারোর কোনো অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? আবার কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পুলিশ তদন্ত করবে কিভাবে?’’