নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দুর্গাপুরঃ মোট সতেরো দফা দাবীতে আজ দেশ জুড়ে সিটু, বিএমএস, এইচএমএস, এআইটিইউসি ও আইএনটিইউসি শ্রমিক সংগঠন ইস্পাত কারখানার শ্রমিকদের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। এই সতেরো দফা দাবীর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিকদের ৩৯ মাসের বকেয়া, সম্মানজনক বোনাস ইত্যাদি রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, বার্নপুর এবং দুর্গাপুরে সেলের ইসকো কারখানায় এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়।
সূত্রের খবর, রবিবার সকালবেলা থেকেই ধর্মঘটে শামিল হওয়া শ্রমিকেরা বার্নপুরের টানেল গেট সংলগ্ন ওভার ব্রিজে বিক্ষোভ দেখান। এদিন দুর্গাপুরের ইসকো কারখানায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে শ্রমিকদের একাংশ ইস্পাত কারখানার মূল গেটগুলির সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং করছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের শ্রমিক নেতা জয়ন্ত রক্ষিত ও তার অনুগামীরা কারখানায় ঢোকার সময় আচমকা জয়ন্ত রক্ষিত পুলিশের সামনে বাইক থেকে নেমে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে ধর্মঘট না করার নির্দেশ দেন। আর রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন।

- Sponsored -
এরপর আন্দোলনকারীদের সাথে তৃণমূল নেতৃত্বের বচসা শুরু হয়। এর জেরে মূল গেটের সামনে নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জয়ন্ত রক্ষিত এই প্রসঙ্গে জানান, “আমরা দাবীগুলির পক্ষে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, রাজ্যে কোনো কর্মদিবস নষ্ট করা যাবে না। কেউ যদি প্রতিবাদ জানাতে চায়, তবে মূল রাস্তা ছেড়ে করুক।” আন্দোলনকারীদের পাল্টা দাবী, , “তৃণমূল শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে।” অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানান।