অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সিএএ নিয়ে এই রাজ্যের বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বড়োসড়ো হুঁশিয়ারী দিলেন। শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘সিএএ নিয়ে কে বিরোধীতা করবে? সিএএ লাগু আটকানোর কার ক্ষমতা আছে? যদি কেউ বাংলায় সিএএ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে বাধা দেয় তাহলে ওই বাধা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব আইন লাগু হবেই।’’
এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘সাত দিনের মধ্যে সিএএ কার্যকর হবে।’’ এর ঠিক পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘সিএএ আর এনআরসি এক নয়, মুখ্যমন্ত্রী ভুল বোঝাচ্ছেন। ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই যে সিএএ কার্যকর হবে।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ গেরুয়া শিবিরের অন্যান্য নেতারা আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই যে সিএএ লাগু হবে সে কথা গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বলে আসছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন, ‘‘সিএএ কেউ আটকাতে পারবে না। আইন শীঘ্রই লাগু হবে।’’
পাল্টা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা সুর চড়িয়ে জানিয়েছেন, ‘‘সবাই নাগরিক। আলাদা করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কি আছে?’’ পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই প্রসঙ্গে চরম হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। অর্থাৎ সিএএ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে।