পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র অশান্তি শুরু হয়। আর বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলুয়াখাঁকি নস্কর পাড়া এলাকায় সিপিএম কর্মীদের বাস। ফলে ইতিমধ্যে ওই এলাকায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
পাশাপাশি প্রায় পঁচিশটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদেরও মারধর করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে। এমনকি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগও উঠেছে। বহু পুরুষেরা আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এদিকে দমকলের গাড়িকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে পরে দমকল বিভাগ সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। দমকল কর্মীরা একাধিক ইঞ্জিন নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে গ্রামের মহিলারা পুকুর থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হয়েছেন। ওকে মাফিয়া নেতা বলে এলাকায় সবাই চেনেন। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাফিয়ারাজ চলে। বখরার লড়াইয়ের কথা কে জানে না! যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এর জন্য অন্য কারোর ঘাড়ে দোষ চাপানোর মানে হয় না। দু’জন ধরা পড়েছে। এক জনের হাতে খুন হয়েছেন। তিনিও তৃণমূল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
মৃতের পরিবারের সদস্যেরা তো তৃণমূলেরই নেতা। তারা তো দলের কথা অনুযায়ী সিপিএমের ঘাড়েই দোষ চাপাবেন। কারোর ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বার করা হোক। যথাযথ তদন্ত হোক। দোষ চাপানোর মাধ্যমে খুনিকে প্রশ্রয় দেওয়ার এই তৃণমূলী রাজনীতি বিপজ্জনক।’’