ব্যুরো নিউজঃ ক্যালিফর্নিয়াঃ হঠাৎ গতকাল ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় বিধ্বংসী আগুনে বহু সাধারণ মানুষ সহ রুপোলি পর্দার তারকারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সকলের বসতবাড়ি ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের অত্যন্ত অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানেই ম্যান্ডি মুর, প্যারিস হিলটন, ক্যারি এলওয়েস ও অ্যান্থনি হপকিন্সের মতো তারকার বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে।
ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৫ জনের আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লস এঞ্জেলসের প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলবর্তী পাহাড়ি এলাকা প্যালিসেডস, ইটন এবং হার্স্ট এলাকায় দাবানলের প্রভাব সবচেয়ে বেশী। সাধের বাড়ি সহ মূল্যবান সব স্মৃতি হারিয়ে তাবড় তাবড় হলিউড তারকারা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। বেন অ্যাফ্লেক, টম হ্যাঙ্কস সহ অন্যেরা দাবানলের ভয়াবহতা দেখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্যালিসাডেসের আগুন ষোলো হাজার একরেরও বেশী জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। দেড় হাজারের বেশী বাড়ি ও দোকান পুড়ে গিয়েছে। শহরের উত্তরে আলতাদেনা সংলগ্ন এলাকায় আলাদা করে ১০ হাজার ৬০০ একর এলাকা আগুনের কবলে পড়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসের আশপাশে অন্তত চারটি জায়গায় এই দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাও ক্রমশ বাড়ছে। এই তালিকায় রিকি লেক, আনা ফারিস এবং বিলি ক্রিস্টাল সহ অনেকে রয়েছেন। সারা শহর জুড়ে ছাইয়ের আস্তরণ ছড়িয়ে পড়েছে।
দমকল বিভাগের কথায়, ‘‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু একথা সত্যি যে, লস অ্যাঞ্জেলসের আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত দমকলকর্মী নেই।’’ আর আগুন যেভাবে ছড়িয়েছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া আগুন নেভাতে দমকল বাহিনীকে এত জল ব্যবহার করতে হচ্ছে যে, বড় নর্দমাগুলিতে প্রায় জল নেই। খ্যাতনামী জেমি লি কার্টিস নেটমাধ্যমে জানান, “তাঁর পরিবার নিরাপদ। তবে বাড়ি রক্ষা পায়নি। তিনি ঈশ্বর ও উদ্ধারকারীদের কাছে কৃতজ্ঞ, যাদের জন্য তিনি এবং তার পরিবার প্রাণে বেঁচেছেন।”
জেমি লি কার্টিসের ভাগ করে নেওয়া একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় বাড়িঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু এই ভয়াবহ আগুন লেগেছে কিভাবে তা এখনো অবধি জানা যায়নি। সমগ্র বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। তবে আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এই ঘটনার নেপথ্যে জো বাইডেন সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। যদিও আমেরিকার পশ্চিমে দাবানলের মতো ঘটনা খুব অস্বাভাবিক নয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের বহু রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের রাস্তা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।