শুধুমাত্র হাফপ্যান্ট পরে আসায় ভ্যাক্সিন না পেয়ে ফিরতে হলো বাড়িতে

Share

পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ এবার এক যুবক হ্যাফ প্যান্ট পরে ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্রে যাওয়ায় ভ্যাক্সিন না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু ওই যুবকের সঙ্গে আসা বৃদ্ধা মাকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র সোনারপুর জুড়ে রাজনৈতিক চাপাউতোর শুরু হয়।

সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, গতকাল সোনারপুর বড়াল সর্দার পাড়ার বাসিন্দা শীর্ষনাথ পণ্ডিত বৃদ্ধা মাকে নিয়ে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বড়াল কার্যালয়ে ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্রে কুপন নিয়ে যান। তবে শীর্ষনাথ হাফ-প্যান্ট পরে থাকায় ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।


শোভনীয় পোশাক ছাড়া পুরসভাতেই প্রবেশ নিষেধ! পুর-প্রশাসনের এই নিয়ম দেখিয়ে ওই যুবককে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


গোটা ঘটনায় ভুক্তভোগী শীর্ষনাথ জানান, “এখনো বাড়ির সামনে হাঁটু সমান জল জমে রয়েছে। ফুলপ্যান্ট পরে বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়াই যাচ্ছে না। ফুলপ্যান্ট পরলে পোশাক নষ্ট হবে। বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন। অতএব পরিষ্কার করার কেউ নেই। আমি যে পোশাকই পরি না কেন আমার মতে আমি এমন কিছু পরিনি যা শালীনতার সীমা পার করে”।


এদিকে পুরসভায় পৌঁছতেই আমাকে বলা হলো যে, “নিয়মবিরুদ্ধ পোশাক পরে এসেছেন। এখানে হাফপ্যান্ট পরে ঢোকা যাবে না। এরপর একদিন অন্তর্বাস পরে আসবেন এটা তো হয় না। ভিতরে মহিলারা আছেন। সব জায়গার একটা নিয়ম আছে”। আমি তো বুঝলামই না কোথায় এটা অশালীন হল! এর সাথে কেনই বা অন্তর্বাস পরে আসার প্রসঙ্গ টানলেন।

এদিকে এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভ্যাক্সিন নিতেও ড্রেস কোড রয়েছে বলে আগে জানতাম না। হয়তো তার কাছ থেকে কাটমানি ঠিক মতো পায়নি। আশ্চর্য বিষয়”। আবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গে অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। এটা ভাবাই যায় না”। এতো রাজনীতির টিকাকরণ মনে হচ্ছে। যাকে খুশি তৃণমূল টিকা দিচ্ছে, যাকে খুশি বের করে দিচ্ছে। এতদিন নেতাদের স্লিপ থাকলে পাবেন আর না হলে পাবেন না তো দেখেই আসছিলাম। এখন আবার ড্রেস কোড!”

যদিও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় পাল্টা কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, “দিলীপ ঘোষের কথা ওঁনার দলের লোকেরাই শোনেন না। যা পারেন তাই বলেন। আসলে পুরসভার কিছু নিয়ম আছে ভ্যাক্সিনেশনের জন্য সেই নিয়ম তুলে দেওয়া যায় না”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031