ওয়েব ডেস্কঃ করোনার প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই লকডাউনের পরপরই বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে। আর বিয়ের মরশুমে মধ্যবিত্তের মনে স্বস্তি এনে সোনার দামও নিম্নমুখী হয়েছে কিছুটা। পুজোর সময় যে দাম হয়েছিল নভেম্বরে তার থেকে ভরিপিছু প্রায় আট হাজার টাকা দাম কমেছে সোনার। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম আরও কমতে পারে এই আশায় লোকে আবার সোনা কিনছেন না। আর তাতে লোকসানের সম্ভাবনা থাকছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই।
পলিসি বাজারের সূত্র অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথমেই ২২ ক্যারটে ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৪৭ হাজার ৪১০ টাকা। আর পরদিনই ছিল ৪৭,৫০০ টাকা। অন্যদিকে একই ২৪ ক্যারটে ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫০,৫১০ টাকা। তারপরদিন ছিল ৫০,৬০০ টাকা সাথে জিএসটি এবং টিসিএস যোগ বাধ্যতামূলক।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার জানিয়েছেন, ‘সোনার দাম গত কয়েক মাসের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এই দাম আরও কমতে পারে ভেবে মানুষ সোনা কিনছেন না ফলস্বরূপ ব্যবসায়ীদের কোন লাভও হচ্ছে না। এরপর দাম আচমকা বাড়লে ক্রেতা—বিক্রেতা সবাই সমস্যায় পড়বেন।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে দাম খুব একটা যে কমেছে তা নয়। বরং কিছুটা আবার বাড়তে পারে। অন্তত তেমনটাই খবর। আর সেখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমেছে দেখে অনেক ব্যবসায়ীই সোনা বুক করেছেন। কিন্তু সেভাবে বিক্রি হয়নি। কারণ ছোট বা মাঝারি দোকানে ক্রেতা হয়নি। ফের দাম বাড়লে আরও বিক্রি কমবে। ফলে তাঁরা আরও সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শহরে সোনার দাম বিভিন্ন। এর মূল কারণ রাজ্যে রাজ্যে করের ভিন্নতা। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মারচেন্টস্ অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (WBBMJA) সিদ্ধান্ত নেন যে কলকাতা ও তার সংলঘ্ন এলাকায় সোনার প্রতিদিনের বাজারদর কতো থাকবে। শহর ও শহরতলির অধিকাংশ গয়নার দোকান তাদের দেওয়া দরের উপরে ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করে। তাই সবটাই কেবল সময়ের অপেক্ষা।