শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেই ঝলসে গেলেন এক বীরযুবক

Share

আবদুল খালিকঃ বিহারঃ আমরা প্রায় প্রত্যেকেই সেলিব্রিটিদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে  জানতে এতটাই ব্যস্ত ও আগ্রহী থাকি যে বাস্তবের অনেক নজরকাড়া খবর আমাদের চোখে আসে না অথবা পর্দার সেলিব্রিটিদের বর্ণময় জগৎ এর ভিড়ে সেই সব সত্যিকারের খবর কোথাও যেন একটা হারিয়ে যায়।

কিন্তু আপনি কি কখনো জানতে পেরেছেন যে Cadet অমিত রাজ কে ছিলেন? নাহ, নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনি কিংবা আপনারা অনেকেই সেটা জানেন না। আর এতে বোধহয় আপনাকে সম্পূর্ণভাবে দোষারোপ করাও ঠিক কাজ হবে না। মহান মিডিয়া হাউসের জ্ঞানী-গুণী জার্নালিস্টগণের মাধ্যমে যা আপনাদের দেখানো হয় আপনি বা আপনারা কেবলমাত্র সেটাই জানেন এবং সেটাই দেখেন। কখনোই এর বাইরে বেরিয়ে কিছু দেখেন না বা দেখতে পান না।

তবে আজ আমরা আপনাদের একজন সত্যিকারের বীরপুরুষের বীরগাথা সম্পর্কে জানাব। যা শুনে আপনাদের চোখে জল আসতে বাধ্য। যা এখনো পর্যন্ত কোনো মিডিয়া হাউসই কভার করেনি।


সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলার সৈনিক স্কুলের Cadet অমিত রাজ ভোরবেলা প্রায় ছ’টা নাগাদ তার বাড়ি বিহারের নালন্দার কাছে জগিং করছিলেন। তখন আচমকাই তিনি আশপাশের লোকজনদের চিৎকার শুনতে পান। তাই তিনি একটু এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান যে সেখানে একটি বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে ও জানতে পান যে বাড়ির ভেতরে ৩ জন শিশু রয়েছে। আর তৎক্ষণাৎই তিনি কোনোরকম দ্বিতীয় চিন্তা ছাড়াই শীঘ্রই ওই জ্বলন্ত বাড়ির ভিতর ৩ জন শিশুর প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে ঢুকে পড়েন। এরপর যখন প্রথম ২ জন শিশু কে বাঁচিয়ে নিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন তখন ইতিমধ্যেই তার ৮৫ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃত বীরেরা কবেই আর নিজের কথা ভেবেছেন!

তবে পর মুহূর্তে আরো একটা বাচ্চা ওই জ্বলন্ত বাড়ির ভিতর রয়ে গেছে শুনে ফের ওই ৮৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ওই জ্বলন্ত বাড়িতে ছুটলেন। তারপর ফের যখন তৃতীয় শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এলেন, ততক্ষনে তিনি নিজে ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছেন। তার প্রবল বীরত্বের ফলে তিন তিনটে শিশুর জীবন রক্ষা পায়।


তারপরই সাথে সাথে তাকে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিন্তু শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতির জেরে তাকে দিল্লীর সফদারজং হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে দশ দিন পর সেখানেই তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

আসুন এই মর্মান্তিক ঘটনায় বীরযুবার বীরগাথাকে কুর্নিশ জানাই এবং সকলকে জানানোর সুযোগ করে দিই।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031