মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ এলাকার বেতাজ শেহেনশাহ বেপাত্তা। তবু এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক জন জানায়, ‘‘রেশন দুর্নীতিতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রমাণ লোপাটের জন্য শাহজাহান পাঁচটি মোবাইল ভেঙে নষ্ট করে দিয়েছিলেন।’’
ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার তিনি অন্তরালে থেকে যে অডিয়ো ক্লিপে বার্তা দিয়েছেন তা শুনে মনে হয়েছে, শাহজাহান এলাকা হাতছাড়া হওয়ার ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের নামে লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর ছড়ালেও, ইডির দাবী, ‘‘শাহজাহান রাজ্যেরই বাংলাদেশ-সীমান্ত ঘেঁষা কোনো এলাকায় রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের একাংশের ছত্রচ্ছায়ায় থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
উল্লেখ্য, আর রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকার এক বড়ো অংশ চেন সিস্টেমে পাচার হত। বেআইনী ভাবে রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির টাকা ডিলারদের একাংশের কাছে যেত। এরপর তা বাকিবুর রহমান, শাহজাহানদের মতো বেশ কয়েক জনের কাছে আসার পর তা আরো উপর তলায় পৌঁছাত।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরে হাসপাতালে থাকাকালীন ১৬ ই ডিসেম্বর নিজের মেয়ের হাতে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তা ইডির কাছে চলে আসতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছিল। আপাতত ওই চিঠি আদালতে জমা পড়েছে। শাহজাহানের টাকা তোলার পাশাপাশি পাচারের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপর মহলে জমা হওয়া বিপুল টাকার একটা অংশ তাঁর কাছেই ফিরে যেত। যা বাংলাদেশে পাচার হত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এছাড়া গোরু পাচার, সোনা পাচার সবই চলত। ইডির দাবী, ‘‘গোপন সূত্রে জানা গেছে, পাচার হওয়ার আগের প্রায় ৫০কোটি থেকে ৬০ কোটি টাকা শাহজাহানের বাড়িতে রয়েছে। তাই শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছিল। সেদিন বাড়িতে ঢুকতে পারলে বিপুল নগদ টাকার সহ বেআইনী অস্ত্র পাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। সেই কারণে শাহজাহান ফোন করে লোক জড়ো করে আমাদের আটকেছে।’’