আর্থিক দুরাবস্থার জেরে পাকিস্তানে আটা ৮০০ টাকা কেজি

Share

ব্যুরো নিউজঃ পাকিস্তানঃ আবারও ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান জুড়ে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়েছে। তাই জিনিসপত্রের চরম মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় দেশবাসী নাজেহাল হয়ে পড়েছে। সব থেকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যে বেশী প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, সাধারণ মানুষের আটা-রুটির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, যেখানে কয়েক দিন আগে অবধি করাচিতে এক কেজি আটা ২৩০ পাকিস্তানি টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ পাকিস্তানি টাকা হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ২৩৮ টাকা। এমনকি এক একটি রুটি ২৫ টাকায় (পাকিস্তানি মুদ্রায়) বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমানে পাকিস্তান মূল্যবৃদ্ধির সাথে লড়াই করছে। গত কয়েক মাসে এই দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। আর খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছরে দেশে খাদ্য, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে।


পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরে পাকিস্তানের শহরাঞ্চলগুলিতে আলুর দাম ৩৬ শতাংশ, চিনির দাম ৩৭ শতাংশ, মশলার দাম ৪৯ শতাংশ, সব্জির দাম ৫৫ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৮৪ শতাংশ, টম্যাটোর দাম ১৮৮ শতাংশ, বিদ্যুতের দাম ৭৩ শতাংশ ও গ্যাসের দাম ৩১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও জিনিসপত্রের দাম বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।


কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘‘পাকিস্তানের উপর বিপুল ঋণের বোঝাই মূলত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)ও পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয় বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। ফলে পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করেছে। এর জেরে খাদ্যসামগ্রী থেকে মৌলিক চাহিদা সব কিছুই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। তবে এই পরিস্থিতি নতুন নয়। গত দু’বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানবাসীকে বারে বারে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি খাবার নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় একাধিক বার মারপিটও করতে দেখা গিয়েছে।’’


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031